সবচে ভয়ঙ্কর অবস্থা জেলা শহরের আসে পাশের গ্রামগুলোর। সেরকমই একটা গ্রাম বাঁশবাড়িয়া। শতকরা নব্বই ভাগ মানুষই যশোর শহরে কাজ করতেন। কেউ অটোরিকশা চালক, কেউ মজুর, কেউ টংয়ে বসেন, কেউ ছুটা কাজ করেন বাসায় বাসায়। সবার আয় বন্ধ। ঘরে দিনে একবেলা খাওয়া হচ্ছে। ঘর থেকে বের হওয়া নিষেধ। শুকনা মুখের বাচ্চাদের দিকে তাকানো যায় না। ঢাকায় নাকি ত্রাণের শেষ নাই। অনেক বাসায় দুই তিন বস্তা পৌঁছে গেছে। সেটাই স্বাভাবিক। দেশের বেশিরভাগ অর্থবান মানুষও ঢাকায় আর তাদের উদ্যোগও তাদের আশেপাশের মানুষের জন্যই।
আমরা গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে একটা লিস্ট করেছি। মোট পঁচাশি দরিদ্র পরিবারের পেশা, সদস্য সংখ্যা ইত্যাদি। লিস্ট অনুযায়ী প্রতি পরিবাবরকে সাপ্তাহিক একটা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। যতদিন দেশ আবার আগের অবস্থায় ফিরে না আসে, সেটাই চালিয়ে যাবার ইচ্ছা।
কেন বাঁশবাড়িয়া? কারণ এই গ্রামে আমাদের পরিচিত বিশ্বাসযোগ্য লোকজন আছে যাদের মাধ্যমে আমরা শিওর হয়ে বলতে পারি যে ঠিক মানুষটার কাছে পরিমাণমতো খাবার পৌঁছে যাচ্ছে।
আপনার যে কোনো অঙ্কের সাহায্য এই মানুষগুলোর জন্য অনেক অনেক বড়। মাত্র ৫২৮ টাকায় একটি চার সদস্যের পরিবারের সারা সপ্তাহ চলে যায়। নর্থ এন্ড এর একটা কাপুচিনোর দাম ৩৫০ টাকা। যাওয়া হয়না অনেকদিন লক ডাউন এর কারণে। ওই কফির টাকাটাই নাহয় এদেরকেই দিলাম?
Other Causes
Cholo Shobai has built a platform that enables nonprofits, organizations, entrepreneurs and businesses receive financial support from anyone.